লেখক ব্লগার তানভির
আগামী ১৯শে মার্চ রবিবার তার শুনানী।
এদিকে প্রধান বিচারক পদে বসে আছে
উগ্রহিন্দু
এসকে সিনহা। অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্টের
সামনে স্থাপিত হয়েছে গ্রিক দেবীর মূর্তি।
ওরা একযোগে আপনাকে ধর্মথেকে চ্যূত করতে
চায়। আপনাকে মূর্তি পূজক বানাতে চায়। আপনি
কি চুপ করে বসে থাকবেন ?
গত ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর রিট খারিজের
আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এবং সেই
আপীলের শুনানির দিন ধার্জ করা হয় আগামী
রবিবার মানে ১৯ই মার্চ, ২০১৭ । ধারণা করা
হয়েছিলো যে রিটের বৈধতা নিয়ে হয়ত
চেম্বারজজে ফায়সালা হবে, কিন্ত, রিটটি আর
চেম্বারজজে নাই, পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে
আপীল
বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। সম্ভবত রিটটি
উঠবে
প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহার কোর্টে, অথবা
বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া‘র কোর্টে। তবে
প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহার কোর্টে উঠার
সম্ভবনাই বেশি। এবং বিষয়টি একারণেই ভয়ঙ্কর
যে, প্রধানবিচারপতি এসকে সিনহা চাইলে
খারিজ হওয়া একটা রিট আবার জারি করে
মুহুর্তেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে
দিতে পারে।
উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে
প্রধানবিচারপতি
এসকে সিনহা এক সভায় বলেছিলো- বাংলাদেশ
এখন পূণাঙ্গ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সে হিসেবে
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ
ধর্মনিরপেক্ষ করা তার জন্য কোন ব্যাপার না।
আসলে এসকে সিনহার সাম্প্রতিক কার্যক্রম
তাকে ইসলামবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী হিসেবে
চিহ্নিত করেছে। বিশেষ করে সুপ্রীম কোর্টের
সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিষয়টি
ছিলো তার একক সিদ্ধান্ত। অথচ তার এই
বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে শুধু সাধারণ
মুসলমান নয় সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবিরা,
এমনকি অনেক বিচারপতি পর্যন্ত তার উপর
ক্ষেপে আছে। ইতিমধ্যে ৩০০ জন আইনজীবি
সাক্ষর দিয়েছে তার এ হীন সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ স্বরূপ ।
যতটুকু জানা যায়, ইসকনপন্থী হিন্দু এসকে সিনহা
মার্কিন লবিতে প্রধানবিচারপতি পদে বসেছে।
সম্প্রতি বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্তও
তার দেয়া। যতটুকু জানা যায় গত বছর চীনা
প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে গার্মেন্টেস
সেক্টরে মোটা ইনভেস্ট করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
তার পেনাল্টি হিসেবেই বিজেএমইএ ভবন
ভাঙ্গার রায় দিয়েছে মার্কিনপন্থী এসকে
সিনহা, এমনটাই মনে করছে অনেকে।
অপর দিকে আমাদের দেশের নাম ধারি সুন্নি
জনতা নিরবতা পালন করতেছে।
কেননা তারা ধর্ম চাইনা তারা চাই পেট
চালানো।
তারা নাকি মুসলিম আমার ভাবতে ও লজ্জা
লাগে।
কিভাবে তারা নিজেদের সুন্নি দাবি করে
আসেকে রাসুল দাবি করে।
তাদের লজ্জা হওয়া উচিত যে আজ সংবিধানের
যে আইন যদি তারা সত্যিকারের আশেকে রাসুল
হতো এই পরিস্থিতিতে কেউ নিরবতা পালন
করতোনা।
যারা এই রিটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান,
তারা আগামী ১৯শে মার্চ রবিবার দল-মত
নির্বিশেষে উপস্থিত হন সুপ্রীম কোর্ট
প্রাঙ্গনে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চেষ্টার
জোর প্রতিবাদ জানান। সবার সাধ্যমত প্রতিবাদ
করলে অবশ্যই বাতিলেরা পিছু হটতে বাধ্য হবে ।
(সংগৃহীত)
প্রয়োজন মনে হলে পোষ্টটি শেয়ার করে
আন্দোলন জোড়দার
No comments:
Post a Comment