লেখক ব্লগার তানভির।
বিজ্ঞানের চরম এই উৎকর্ষের যুগে মানুষ আজ
দিশেহারা। মানুষগুলো যেন মরীচিকার পেছনে
হন্যে হয়ে ঘুরছে। চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে যথেষ্ট
ব্যবধান আর অতৃপ্তির মাত্রা যেন বেড়েই চলছে।
কোথাও শান্তির কোনো আভাস মিলছে না। শুধুই
হতাশা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় কালাতিপাত করছে
মানুষগুলো। তারা ভেবেই পাচ্ছে না, কী হচ্ছে?
কী হতে যাচ্ছে? কোথায় মানবতা? কোথায় সুখ?
কোথায় শান্তি? এসব প্রশ্ন আজ বিশ^ সভ্যতার এই
যুগের মানুষগুলোকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে
দিয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, এরই মধ্যে বিশে^র দেশে
দেশে ইসলাম সম্পর্কে জানা আর মানার আগ্রহ ও
প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবেকবান শিক্ষিত
লোকেরা ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে
পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব পর্যায়ে
মানবতার অবক্ষয় থেকে মুক্তির উপায় আর দুনিয়ায় শান্তি
ও সুখ তালাশ করছে। বিবেকবান শিক্ষিত মানবদরদি
লোকেরা মানবতার মুক্তি আর দুনিয়ার শান্তি ও সুখের
সন্ধানে দস্তুরমতো ব্যাপক চিন্তা গবেষণা ও অধ্যয়ন
শুরু করে দিয়েছে। আণবিক বোমা, পারমাণবিক আর
রাসায়নিক বোমা বা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র পৃথিবীতে
মানবতার মুক্তি, শান্তি আর সুখ এনে দিতে পারবে না এ
বিশ^াস থেকেই নতুন পথের সন্ধানে গবেষণা শুরু
করে দিয়েছে। কোথায় মানবতা লুকিয়ে আছে আর
কিভাবে দুনিয়ায় শান্তি ও সুখ খুঁজে পাওয়া যায় এটাই এখন
গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ সোবহানাহু
ওয়া তায়ালা সূরা আল আ’রাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে
বলেছেন, ‘আর এই জনপদের লোকেরা যদি
(আল্লাহ তায়ালার ওপর) ঈমান আনতো আর আল্লাহকে
ভয় করে চলতো, তাহলে আমি তাদের জন্য আসমান
ও জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম।’
আলহামদুলিল্লাহ, বিশে^র বিবেকবান সমাজ সচেতন ও
জ্ঞানী লোকেরা এখন আল্লাহ তায়ালার ঘোষিত এই
সুখের সন্ধানে চিন্তা গবেষণা শুরু করে দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment